মোঃ রেজাউল হাসান
বিশেষ প্রতিনিধি:
বরিশালে নতুন বাজারে মাদকাসক্ত তরুণীর ছুরির আঘাতে মাসুদুর রহমান নামে ৪০বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। নতুন বাজার টেম্পুস্ট্যান্ড এলাকায় হাবিবুর রহমান এর ছেলে মাসুদ কে ফোন করে বাসায় নেয়ে যায় কলেজ রোড শওকত মোল্লার মেয়ে শান্তা ঐদিন রাতে আবাসিক এলাকায় ডেকে নিয়ে দুই সন্তানের জনক মাসুদুর রহমানকে ছুরির আঘাত আঘাত করে শওকত মোল্লার মেয়ে শান্তা। গুরুতর যখন হলে এলাকার জনগণ তাৎক্ষনিক উদ্ধার করে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ঘটনার সাথে জড়িত সান্তা ও দুই ভাইকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
কিন্তু ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোন অভিযোগ না পাওয়ায় তরুণী ও দুই ভাইকে মুক্তি দেয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ। দুই দিন আগে শুক্রবার শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইভ সাপোর্টে থাককালীন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাসুদুর রহমানের। মুক্তি দেওয়ার কারণে বিপাকে পড়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ও পুলিশ। নিহতর ভাই মাহফুজুর রহমান পুলিশকে জানায় তার ভাই মাসুদুর রহমানের বেকারির ব্যবসা রয়েছে। মাসুদের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে কলেজ রোড এলাকায় শওকত মোল্লার মেয়ে শান্তার সাথে হৃদয়ঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার ভাই। মাদকাসক্ত শান্তা তাকে প্রবন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঠকিয়ে আসছিল।
বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেনি, বুধবার ২ লক্ষ টাকা নিয়ে মাসুদ বাসায় রওনা হলে শান্তা ফোন করে তাকে বাসায় ডেকে নেয়। ও তার ভাই লোকমান হোসেন মাসুদের কাছে এত টাকা দেখলে তার লোভ সামলাতে না পেরে টাকা নেওয়ার জন্য জোরাজোরি করলে মাসুদুর রহমান বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন শান্তা ও তার ভাইয়েরা মাসুদকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত হলে চিৎকার করতে শুরু করে এলাকাবাসী টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে লাইভ সাপোর্টে দুইদিন থাকার পর শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যুর কারণে বরিশাল কোতোয়ালি থানার ওসি বিপাকে পড়ে যায়। থানার ওসি মিজানুর রহমান মাসুদুর রহমান ও শান্তার মধ্যে পরকীয়া ছিল এই পরকীয়ার কথা কেউ যাহাতে না জানতে পারে তার কারণে মাসুদ বিষয়টি এড়িয়ে যায় তিনি বলেন ধস্তাধস্তির কারণে জুতার বাক্সে কোনায় সে আঘাতপ্রাপ্ত হয় এই কারণে সান্তা ও তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেহেতু মাসুদুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে! এখন তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা।